নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো মানসিক চাপ। এছাড়া খাবারের অনিয়ম এবং অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেও উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। এর চিকিৎসায় দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যেমন- জীবনধারা পরিবর্তন ও ঔষধ সেবন। কারো ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জীবনধারায় পরিবর্তন এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। আবার কারো ক্ষেত্রে তা হয় না। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রত্যেক রোগীর জন্য দুই ধরণের চিকিৎসাই প্রয়োজন হয়। তবে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করতে বয়স, খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শরীরচর্চার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়।
বিশেষ করে শরীর সুস্থ রাখতে সকালে নাস্তা করা ভীষণ জরুরি। তবে এক্ষেত্রে একটা ভুলেই বাড়তে পারে আপনার রক্তচাপ। অনেকেই অফিসে যাওয়ার তাড়াহুড়ায় প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবারের ওপর ভরসা রাখেন। আর সেখানেই বিপদ। তাছাড়া এমন কিছু খাবারও রয়েছে যা আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও আসলে তা নয়। তাই এক্ষেত্রে কিছু খাবার না খাওয়াই উত্তম। চলুন সেসব খাবারের নাম জেনে নেওয়া যাক:
পাউরুটি
সকালের নাস্তায় ফ্রেঞ্চ টোস্ট কিংবা পাউরুটি-মাখন আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এখনই এই অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। পাউরুটিতে ভরপুর মাত্রায় সোডিয়াম থাকে। যা রক্তরসের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। ফলে রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
পরোটা
অনেকেই ছুটির দিনে পরোটা দিয়ে নাস্তা করেন। তবে এই খাবারে ক্যালরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। প্রতিদিনের ডায়েটে পরোটা রাখলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, ওবেসিটি ও হৃদ্রোগের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। পরোটা মাঝেমধ্যে খেতে হলে তেল ছাড়া সেঁকা পরোটা খেতে পারেন। এক্ষেত্রে সবজির পরোটা, মেথি পরোটা, পালং পরোটা ভালো বিকল্প হতে পারে।
ইনস্ট্যান্ট ফুড
ঝটপট বানিয়ে ফেলার জন্য বাজারে এখন ইনস্ট্যান্ট রেডি টু ইট খাবারের অভাব নেই। নুডল্স, চিড়া ছাড়াও বাজারে গেলে এই ধরনের খাবারের ছড়াছড়ি। এই সব খাবার দীর্ঘ দিন ভালো রাখার জন্য লবণ ও রাসায়নিক সামগ্রী অত্যধিক মাত্রায় মেশানো থাকে। আর এইসব খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে মেশানো থাকে নানা রকমের মশলা। এগুলোতে লবণ থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে এই খাবার।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
চিকেন সসেজ, বেকন, নাগেট্স খেতে ভালবাসেন? প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খুব বেশি মাত্রায় প্রক্রিয়াজাত মাংস রাখলেও কিন্তু রক্তচাপ বাড়তে থাকে। এই মাংসগুলো দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য তাতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম মেশানো হয়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের প্রসেসড মাংস এড়িয়ে চলাই ভালো।